যুবকদের প্রতি ৭৫টি নসিহত
সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি বলেন,
وَلَقَدْ وَصَّيْنَا الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَإِيَّاكُمْ أَنِ اتَّقُواْ اللّهَ
“তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে আমি নসিহত করেছি এবং তোমাদেরকেও নসিহত করছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর।” [সূরা নিসা: ১৩১]
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর ও রসূল মুহাম্মদের উপর। যিনি বলেন,
أُوصيكم بتقوى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ والسمعِ والطاعةِ
“আমি তোমাদেরকে নসিহত করছি আল্লাহ ভীতির জন্য (মুসলিম শাসকদের) কথা শোনা ও তাঁর আনুগত্য করার জন্য।” [আবু দাউদ, তিরমিজি-সহিহ]
তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি হল, তাঁর আদেশ মেনে চলা এবং নিষেধ থেকে দূরে থাকা। তাকওয়াই হল দুনিয়া ও আখিরাতে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি।
নিম্নে কতিপয় মূল্যবান ইসলামি নসিহত সন্নিবেশিত করা হল। নসিহতগুলো দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন: ইবাদত-বন্দেগি, লেনদেন, আদব-শিষ্টাচার, চরিত্র ও আচার-ব্যবহার ইত্যাদি। যে মুসলিম যুবক প্রয়োজনীয় ও উপকারী বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, আমরা সে যুবকের প্রতি তার স্মরণের উদ্দেশ্যে এ নসিহতগুলো পেশ করছি। আর স্মরণ মুমিনদের উপকারে আসবে। আমরা আল্লাহর দরবারে আশা রাখি, যে ব্যক্তি এগুলো শুনবে বা পাঠ করবে আল্লাহ তাকে উপকৃত করুন। যে ব্যক্তি এগুলো লিখবে বা প্রচার করবে বা আমল করবে তাকে সুমহান প্রতিদান ও পুরস্কারে ভূষিত করুন। তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম কর্ম সম্পাদনকারী।
নসিহতগুলো নিম্নরূপ:
১. আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করবে। কথায় ও কাজে মানুষের প্রশংসা পাওয়া কিংবা দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রিয়া (প্রদর্শনেচ্ছা) পরিত্যাগ করবে।
২. যাবতীয় কথা, কাজ ও আচার-আচরণে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শ অনুসরণ করবে।
৩. আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করবে এবং তার যাবতীয় নির্দেশ পালন এবং নিষেধ থেকে দূরে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
৪. আল্লাহর নিকট খাঁটি ভাবে তওবা করবে এবং অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার (আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা) করবে।
৫. তোমার কথা ও কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সূক্ষ্ম দৃষ্টির কথা স্মরণ রাখবে। জেনে রাখবে যে, আল্লাহ তোমাকে দেখেন এবং তোমার হৃদয়ের গোপন খবরও তিনি জানেন।
৬. আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ, নবী-রসূলগণের প্রতি এবং শেষ দিবস ও তকদির বা ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি দৃঢ়ভাবে ঈমান পোষণ করবে।
৭. প্রমাণ ছাড়া কারও অন্ধ অনুকরণ করবে না। হীন চাটুকার বা তোষামোদ কারী হবে না।
৮. ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করবে।
৯. রিয়াযুস সালেহীন কিতাবটি সংগ্রহ করবে। নিজে পড়বে পরিবারের অন্যদেরকেও পড়ে শোনাবে। ইমাম ইবনুল কাইয়েমের যাদুল মাআদ গ্রন্থটিও সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে। (কিতাব দুটি বাংলায় পাওয়া যায়।)
১০. প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল নাপাকি থেকে সর্বদা পবিত্র থাকবে।
১১. জামাতের সাথে মসজিদে গিয়ে প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করতে সচেষ্ট থাকবে। বিশেষ করে ইশা ও ফজর সালাত। (মহিলারা বাড়িতে প্রথম রক্তে সালাত আদায় করবে)
১২. দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য পরিত্যাগ করবে। যেমন: কাঁচা পিয়াজ, কাঁচা রসূন ইত্যাদি এবং ধূমপানের মাধ্যমে নিজেকে এবং মুসলিমদেরকে কষ্ট দিবে না।
১৩. জামাতের বিশেষ ফজিলত হাসিলের লক্ষ্যে সর্বদা জামাতে সালাত আদায় করবে।
১৪. ফরজ জাকাত আদায় করবে। জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে হকদারদের ব্যাপারে কৃপণতা করবে না।
১৫. আগে ভাগে জুমার নামাজে যাওয়ার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয় আজানের পর মসজিদে আসার অভ্যাস পরিত্যাগ করবে।
১৬. ঈমানের সাথে আল্লাহর নিকট প্রতিদান পাওয়ার আশায় রমজানের রোজা পালন করবে। এর মাধ্যমে তোমার পূর্বাপর যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
১৭. শরিয়ত সম্মত কোন ওজর ব্যতীত রমজান মাসের কোন একটি রোজাও পরিত্যাগ করবে না। অন্যথায় গুনাহগার হয়ে যাবে।
১৮. রমজানের রাতগুলোতে কিয়াম করবে বিশেষ করে লায়লাতুল কদরে ঈমানের সাথে ও প্রতিদানের আশায় কিয়াম (রাত জেগে সালাত আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ইবাদত-বন্দেগি) করবে। যাতে করে তোমার পূর্বকৃত পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
১৯. যদি সামর্থ্য বান হয়ে থাক তবে দ্রুত হজ-ওমরার উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহর দিকে সফর কর। দেরি করার ব্যাপারে সতর্ক হও।
২০. পবিত্র কুরআন অর্থসহ পড়ার চেষ্টা করবে। কুরআনের আদেশ পালন করবে এবং নিষেধ থেকে দূরে থাকবে। যাতে করে প্রভুর দরবারে কুরআন তোমার পক্ষে দলিল হয় এবং কিয়ামতের ময়দানে তোমার জন্য সুপারিশ করে।
২১. সর্বদা আল্লাহ তাআলার জিকিরে মশগুল থাকবে-প্রকাশ্যে-গোপনে, দাঁড়ানো, বসা ও শোয়াবস্থায়-সর্বদাই। আল্লাহর জিকির থেকে কখনো গাফেল হবে না।
২২. জিকিরের মজলিসে (ইলমি অনুষ্ঠানে) বসবে। কেননা এ ধরণের মজলিস জান্নাতের বাগান।
২৩. হারাম এবং গোপন বিষয় দেখা থেকে তোমার দৃষ্টিকে নত রাখবে। সেদিকে দৃষ্টিপাত থেকে সর্বদা সাবধান থাকবে। কেননা নিষিদ্ধ দৃষ্টি হল, শয়তানের পক্ষ থেকে একটি বিষাক্ত তীর।
২৪. টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে কাপড় পরবে না এবং চলাফেরায় কখনো অহংকারী ভাব প্রকাশ করবে না।
২৫. রেশমের কাপড় বা স্বর্ণের কোন কিছু পরিধান করবে না। এগুলো পুরুষদের জন্য হারাম।
২৬. মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে না। আর তোমার পরিবারের কোন মহিলাকেও পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে দেবে না।
২৭. দাড়ি ছেড়ে দাও। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমার গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছেড়ে দাও।” [বুখারী ও মুসলিম]
২৮. হালাল ছাড়া অন্য কিছু ভক্ষণ করবে না এবং হালাল ব্যতীত অন্য কিছু পান করবে না। তাহলে তোমার দুআ কবুল হবে।
২৯. পানাহারের সময় বিসমিল্লাহ্ (আল্লাহর নামে শুরু) বলবে। শেষ করলে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) বলবে।
৩০. ডান হাতে পানাহার করবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে ডান হাতে গ্রহণ করবে এবং ডান হাতেই প্রদান করবে।
৩১. কারো প্রতি জুলুম করবে না। কেননা কিয়ামত দিবসে জুলুম অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে।
৩২. মুমিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাউকে সাথী হিসেবে গ্রহণ করবে না। আর তোমার খাবার যেন ভালো মানুষ ব্যতীত অন্য কেউ না খায়।
৩৩. সাবধান! ঘুষ খাবে না। নিবেও না দিবেও না এবং এ ব্যাপারে মধ্যস্থতাও করবে না। কেননা এরূপ যে করে সে অভিশপ্ত।
৩৪. আল্লাহকে নাখোশ করে মানুষের সন্তুষ্টি চেও না। কেননা আল্লাহ তাতে অসন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।
৩৫. শরিয়ত সম্মত প্রতিটি বিষয়ে ওলিউল আমর তথা মুসলিম শাসকের আনুগত্য করবে এবং তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবে।
৩৬. সাবধান! কখনো মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে না। আর সত্য সাক্ষ্যও গোপন করবে না। “যে ব্যক্তি তা গোপন করবে তার অন্তর পাপী। আর তোমাদের আমল সম্পর্কে আল্লাহ পরিজ্ঞাত।” [সূরা বাকারা: ২৮৩]
৩৭. “সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর এক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হলে ধৈর্য ধারণ করবে।” [সূরা লোকমান: ১৭]
আল্লাহ এবং তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা আদেশ করেছেন তাই সৎকাজ এবং তাঁরা যা নিষেধ করেছেন তাই অসৎকাজ।
৩৮. ছোট-বড় সব ধরণের হারাম কাজ পরিত্যাগ কর। কখনো আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করবে না। এক্ষেত্রে কাউকে সহযোগিতাও করবে না।
৩৯. কোন ভাল কাজকেই ছোট মনে করবে না। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক কোন বস্তু পরিত্যাগ করাটাও একটা ঈমানি কাজ। লজ্জাবোধ ঈমানের অংশ।
৪০. ব্যভিচারের নিকটবর্তী হবে না। আল্লাহ বলেন, ”তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। কেননা তা অশ্লীলতা এবং খুবই নিকৃষ্ট কাজ।” [সুরা বানী ইসরাইল: ৩২]
৪১. পিতামাতার সাথে সদাচার করবে। সাবধান! তাদের কথা অমান্য করবে না যদি না তারা ইসলাম বিরোধী নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু তারা যদি ইসলাম বিরোধী কাজের নির্দেশ দেয় তবে সে অবস্থায়ও ভদ্রতা বজায় রেখে তাদের সে নির্দেশ পালন থেকে বিরত থাকবে।
৪২. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ব্যাপারে সাবধান হবে।
৪৩. প্রতিবেশীর সাথে ভাল ব্যবহার করবে। তাকে কষ্ট দিবে না। সে কষ্ট দিলেও তাতে ধৈর্য ধারণ করবে।
৪৪. সৎ ব্যক্তি এবং ঈমানি ভাইদের সাথে ঘন ঘন সাক্ষাৎ করবে।
৪৫. শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কাউকে ভালোবাসবে। আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কাউকে ঘৃণা করবে। কেননা এটা হল, ঈমানের সর্বাধিক মজবুত হাতল।
৪৬. সৎ ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করবে। অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করবে।
৪৭. কোন মুসলিমকে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দেখলে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাবে এবং তাদেরকে আনন্দিত রাখার চেষ্টা করবে।
৪৮. নম্রতা, ধীর স্থিরতা এবং ধৈর্যাবলম্বন করবে। তাড়াহুড়া পরিত্যাগ করবে।
৪৯. অন্যের কথার মাঝে বাধা সৃষ্টি করবে না। সুন্দরভাবে তা শোনার চেষ্টা করবে।
৫০. জানা-অজানা সকল মুসলিম ভাইকে সালাম দিবে।
৫১. সুন্নতি সালাম দিবে। বলবে, “আসসালামু ওয়া আলাইকুম।” হাত বা মাথা দিয়ে ইশারা করাকেই যথেষ্ট মনে করবে না।
৫২. কাউকে গালিগালাজ করবে না। খারাপ ভাবে কারো বর্ণনা দিবে না।
৫৩. কাউকে অভিশাপ দেবে না। এমনকি তা যদি চতুষ্পদ জন্তু বা কোন জড় বস্তুও হয়।
৫৪. কোন মানুষের ইজ্জতে কোন প্রকার অপবাদ দিবে না বা তার কুৎসা রটনা করবে না। কেননা এরূপ করা কবিরা গুনাহ।
৫৫. চুগলখোরি করবে না। অর্থাৎ ফ্যাসাদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্যজনকে বলবে না।
৫৬. গিবত করবে না। (গিবত হল, তোমার মুসলিম ভাইয়ের দোষের কথা তার অসাক্ষাতে অন্যের কাছে বলা)।
৫৭. কোন মুসলিমকে ভয় দেখাবে না এবং তাকে কোন প্রকার কষ্ট দিবে না।
৫৮. মানুষের মাঝে সমঝোতা করার চেষ্টা করবে। কেননা এটা হল, একটি উত্তম আমল।
৫৯. কথা নিয়ন্ত্রণ করবে করবে। ভাল কথা বা কাজের কথা বলবে, অন্যথায় চুপ থাকবে।
৬০. সত্যবাদী হও মিথ্যা পরিত্যাগ কর। কেননা মিথ্যা পাপ কাজের রাস্তা দেখায় আর পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়।
৬১. দুমুখো হয়ো না। একই বিষয়ে এদের কাছে এক কথা অন্যদের কাছে আর এক কথা বলবে না।
৬২. আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করবে না। আর সত্য বিষয় হলেও বেশি বেশি কসম করার অভ্যাস করবে না।
৬৩. কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে না। কেননা তাকওয়ার মানদণ্ড ছাড়া কারো উপর কারো প্রাধান্য নেই।
৬৪. কোন জ্যোতির্বিদ, গণক বা জাদুকরের কাছে যাবে না। তাদের কোন কথা বিশ্বাস করবে না। এতে ঈমানের ক্ষতি হয়।
৬৫. কোন মানুষ বা প্রাণীর চিত্রাঙ্কন করবে না। কেননা কিয়ামত দিবসে চিত্রকরদেরকে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
৬৬. তোমার বাড়িতে কোন প্রাণীর ছবি রাখবে না। কেননা এতে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
৬৭. কেউ হাঁচি দেওয়ার পর ‘আলহামদু লিল্লাহ’ (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) বললে তার জবাবে ইয়ারহামু কাল্লাহ (আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন) বলবে।
৬৮. কোন ক্রমেই তাবিজ-কবজ, তাগা ইত্যাদি ব্যবহার করবে না। এগুলো ব্যবহার করা শিরক।
৬৯. প্রতিটি পাপকাজের জন্য অনতিবিলম্বে তওবা করবে। খারাপ কাজ হয়ে গেলেই ভাল কাজ করবে, যাতে উক্ত পাপ মোচন হয়ে যায়। এরূপ বলবে না যে, অচিরেই তওবা করব।
৭০. আল্লাহ তাআলার ক্ষমা ও করুণার আশাবাদী হও। আল্লাহর প্রতি সু ধারণা রাখ।
৭১. আল্লাহর শাস্তির ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত থাক। তার শাস্তির ব্যাপারে নিজেকে নিরাপদ ভেবো না।
৭২. বিপদাপদে ধৈর্য ধারণকারী হও এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।
৭৩. অধিক পরিমাণে সৎকাজ করবে। যাতে করে মৃত্যুর পরেও তার সওয়াব অব্যহত থাকে। যেমন: মসজিদ তৈরি করা, ইসলামি জ্ঞানের প্রচার ও প্রসার করা।
৭৪. আল্লাহর কাছে জান্নাত পাওয়ার প্রার্থনা করবে এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় কামনা করবে।
৭৫. রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অধিকহারে দরূদ পাঠ করবে।
وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم
কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আল্লাহ তাঁর পরিবার ও সকল সাহাবিদের প্রতি অবিরাম ধারায় রহমত ও শান্তি নাজিল করুন। আমিন।
75 وصيّة للشباب
إعداد: دار القاسم
▬▬▬▬▬▬▬✿◈✿▬▬▬▬▬▬▬ অনুবাদ: মুহা. আবদুল্লাহ্ আল কাফী বিন আব্দুল জলীল রাহ.
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।